জাতীয়
উদ্ধার হওয়া ৯ লাশ পুড়ে অঙ্গার, পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষা লাগবে
২৬ বাংলা টিভি 14-Oct-2025 44
অগ্নিকাণ্ডস্থল থেকে নয়জনের মরদেহ উদ্ধারের কথা জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস
ডেক্স রিপোর্ট:
রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে আগুনের ঘটনায় পোশাক কারখানা থেকে যে নয়টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, সেগুলো এমনভাবে পুড়ে গেছে যে দেখে পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষার প্রয়োজন হবে বলে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিয়ালবাড়ির ৩ নম্বরে এই আগুনের সূত্রপাত হয়। ওই সড়কের একপাশে চারতলা একটি পোশাক কারখানা এবং তার উল্টো দিকে সড়কের অপর পাশে একটি রাসায়নিকের গুদাম রয়েছে। আগুনের খবর শুনে সেখানে গিয়ে এই দুটি স্থাপনাতেই আগুন জ্বলতে দেখেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
কীভাবে আগুনের সূত্রপাত, সে বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানাতে পারেনি। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, ‘আনোয়ার ফ্যাশন’ নামের ওই পোশাক কারখানার নিচতলায় ‘ওয়াশ ইউনিট’। সেখানে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের রাসায়নিকের গুদামে। গুদামটি দোতলা, ওপরের তলায় টিনের ছাউনি। সেখানে অনেক ড্রাম ভরা রাসায়নিক ছিল। আগুন ছড়িয়ে পড়লে এই গুদামে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর আগুন পোশাক কারখানার চারতলায় ছড়িয়ে পড়ে।
এ সময় পোশাক কারখানার অনেক কর্মী নেমে যান। কিন্তু অনেকেই আটকা পড়েন। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নেভানো ও কারখানা থেকে লোকজনকে বের করে আনার কাজ করেন।
বিকেল পর্যন্ত পোশাক কারখানা থেকে নয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানান, যে ৯টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, সবগুলোই পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে। লাশ দেখে পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব নয়। পরিচয় শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষা করতে হবে।
এর আগে বিকেলে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘কারখানায় তল্লাশি অভিযান এখনো চলমান। পাশের যে কেমিক্যাল গোডাউন রয়েছে, সেখানে এখনো আগুন জ্বলছে। এটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ওখানে কাউকে যেতে দিচ্ছি না। আমরা সর্বোচ্চ প্রযুক্তি দিয়ে, ড্রোন দিয়ে এসব কার্যক্রম করছি।
ঘটনার পর থেকে রাসানিকের গুদামের মালিক বা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের জানান ফায়ার ব্রিগেডের পরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, দেখে মনে হচ্ছে এই রাসায়নিক গুদামের অনুমোদন নেই। যাচাই-বাছাই করে তদন্ত করে বিস্তারিত পরে জানা যাবে।
উদ্ধার করা লাশগুলোর মধ্যে কতজন নারী এবং কতজন পুরুষ, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলেও জানান তাজুল ইসলাম চৌধুরী।
news@26banglatv.com