সারা বাংলা ঢাকা ঢাকা
ইসকনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টার অভিযোগ
২৬ বাংলা টিভি 03-Nov-2025 19
সনাতন ধর্মাবলম্বী সংগঠনগুলো যৌথ সংবাদ সম্মেলন করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। ছবিঃ সংগৃহীত
ডেস্ক রিপোর্টঃ আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে “জঙ্গি ও উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন” তকমা লাগিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে দেশের বিভিন্ন সনাতন ধর্মাবলম্বী সংগঠন। তাঁদের দাবি, এসব অপতৎপরতার মাধ্যমে দেশের আবহমান ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সামাজিক সৌহার্দ্য নষ্টের চেষ্টা চলছে।
আজ সোমবার সকালে রাজধানীর স্বামীবাগে ইসকন বাংলাদেশের আশ্রমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয়। সম্মেলনে অংশ নেয় ইসকন বাংলাদেশ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, সম্মিলিত সনাতন পরিষদ, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদসহ একাধিক সংগঠন।
সংবাদ সম্মেলনে ইসকন বাংলাদেশের সভাপতি সত্য রঞ্জন বাড়ৈ বলেন,
“ইসকন একটি অরাজনৈতিক, অলাভজনক ও মানবকল্যাণমূলক আধ্যাত্মিক প্রতিষ্ঠান। আমাদের বিরুদ্ধে ছড়ানো সব
অভিযোগই মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং দেশের শান্তিপ্রিয় মানুষদের বিভ্রান্ত করার প্রচেষ্টা।”
ইসকনের সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মাচারী লিখিত বক্তব্যে জানান, ইসকন দীর্ঘদিন ধরে অহিংসা, মানবসেবা ও
ভ্রাতৃত্ববোধের বার্তা প্রচারে নিবেদিত। তিনি অভিযোগ করেন,
“সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে ইসকন সম্পর্কে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও গুজব ছড়ানো হচ্ছে। পাশাপাশি মন্দির, আশ্রম ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করে ভক্তদের ওপর হামলা, হুমকি ও হয়রানির ঘটনাও ঘটছে।”
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা আরও বলেন, এসব গুজব ও উসকানিমূলক প্রচারণা শুধু ইসকন নয়, দেশের সামগ্রিক ধর্মীয় সম্প্রীতিকে বিপন্ন করছে।
তাঁরা শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় তিন দফা দাবি জানান-
১. সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টে জড়িত ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে দ্রুত চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ,
২. সব মন্দির, মঠ, আশ্রমসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা জোরদার করা,
৩. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ও উসকানিমূলক প্রচারণা প্রতিরোধে কঠোর পর্যবেক্ষণব্যবস্থা চালু করা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইসকনের সহসভাপতি ভক্তি বিনয় স্বামী মহারাজ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক নিম চন্দ্র ভৌমিক, সম্মিলিত সনাতন পরিষদের সভাপতি হীরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য দেবাশীষ রায় মধু, প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ধর্মীয় সম্প্রীতির ঐতিহ্য রয়েছে, সেটি ধ্বংসের যে কোনো চেষ্টা দেশের জন্য অশনিসঙ্কেত হিসেবে দেখা উচিত।
news@26banglatv.com